কিছু একটা আপনাকে খুব বিরক্ত করছে। আপনি ভাবছেন, ইস! যদি এই সমস্যাটা পার করতে পারতাম জীবন মনে হয় প্রশান্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে যেত। আমাদের সবারই জীবনে কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে, যা আমাদের শান্তিতে ঘুমাতে দেয় না। আর আমরা ভাবতে থাকি, ওহ! ভাই, যদি এই সমস্যাটা চলে যেত আমি অনেক ভালো থাকতাম।
যদি ঈমান থাকার মানে হয় আপনার কোনো সমস্যা থাকবে না, তাহলে মারিয়াম (আ.) এর কোনো সমস্যা থাকা উচিত ছিল না। রাসূল (স.) এরও কোনো সমস্যা থাকার কথা ছিল না। আল্লাহর কাছাকাছি মানুষদের জীবনী পড়লে আপনি দেখবেন তাদের জীবন ছিল সমস্যায় পরিপূর্ণ। বড় বড় সমস্যা, সারা জীবন ধরে। আর আপনি শুধু এই সমস্যাগুলোর কথাই পড়ছেন।
আপনি পড়ছেন তারা কিভাবে একটা সমস্যা থেকে আরেকটা সমস্যা, আরেকটা সমস্যা থেকে আরেকটা সমস্যায় জীবন অতিবাহিত করে গেছেন। আর আপনি এটাই শিখছেন।
আল্লাহর একজন মহান রাসূল ছিলেন ইউসুফ (আ.)। তার জীবনের দিকে তাকালে দেখবেন ছোট বেলা থেকেই তিনি সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। তাহলে… আমি এই প্রশ্নটি বার বার করছি, আল্লাহ তাহলে আপনাকে কী দিচ্ছেন? আপনার জীবনের অতি ভয়াবহ সমস্যার সময় যখন আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন, এর বিনিময়ে আল্লাহর কাছ থেকে কী পাবেন? যখন মানুষ আপনাকে বলতে থাকে…আল্লাহ তোমাকে অপছন্দ করে তাই তোমার জীবনে এসব ঘটছে। বিপরীতে, আপনিও ভাবতে শুরু করে দেন, আল্লাহ মনে হয় আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন তাই আমার জীবনে এসব বিপদাপদ ঘটছে।
সেই মুহূর্তে যদি আপনি আল্লাহ সম্পর্কে সুধারণা পোষণ করতে পারেন, আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, নির্ভরতা এবং বন্ধন বজায় রাখতে পারেন এবং উপলব্ধি করতে পারেন যে, না, আল্লাহ আপনাকে কখনো ছেড়ে যাবেন না। এর বিনিময়ে তিনি আপনাকে কী দিবেন? ‘ইয়াহদি ক্বলবাহু’ – “তিনি সে লোকের হৃদয়কে পথ দেখান।” তিনি তাদের অন্তরকে সঠিক পথ নির্দেশনা দান করেন।
Leave a comment