মেঘাঠাকুর – চৌধুরী শামসুল আরেফিন

 

বই : মেঘাঠাকুর
লেখক : চৌধুরী শামসুল আরেফিন
জনরা : জীবনী গ্রন্থ
প্রকাশনায় : কাব্যগ্রন্থ প্রকাশন
প্রথম প্রকাশ : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২
প্রচ্ছদ মূল্য : ১৬০ টাকা

রিভিউ দাতা : Sadia Sultana

লেখক সম্পর্কে : চৌধুরী শামসুল আরেফিন।তরুণ লেখক।তিনি ২ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রামপাশা গ্রামে তাঁর নানার বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন এবং বেড়ে ওঠেন দরগাহপুর গ্রামে তাঁর পিতৃনিবাসে।বংশগত দিক থেকে বারো ভূইয়ার নেতা ঈশা খাঁর বংশধর।তিনি জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স এবং সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিং বিষয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেন।বর্তমানে তাঁর দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।এগুলো হলো “প্রদীপ্ত যৌবন অতৃপ্ত মন” কাব্যগ্রন্থ ও”মেঘাঠাকুর”শিশু কিশোর সাহিত্যর্কম।

বই সম্পর্কে : বই সম্পর্কে বলতে গেলে সর্বপ্রথম এই বইয়ের নাম সম্পর্কে বলতে হবে! সত্যি বলতে,যখন শুনেছিলাম বইটি আমি হাদিয়া পাচ্ছি তখন থেকেই বইয়ের নামটি আমার মনে কৌতুহল সৃষ্টি করেছিলো!বইটি হাতে পাওয়ার আগে বইটি নিয়ে অনেক ভেবেছি,পরে যখন বইটি পড়া শুরু করলাম তখন জানতে পারলাম বইটির এমন নামকরণের কারণ কি?

(আপনারও নিশ্চয় এখন বইটির নামকরণ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা করছে?কিন্তু নামকরণের কারণ কি সেটা আমি বলবো না।যদি জানতে চান তাহলে পড়তে হবে”মেঘাঠাকুর”বইটি!)

মূলত বইটিতে মেঘাঠাকুর নামের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে অসামান্য একজন মনীষীর জীবনী।তিনি হলেন চৌধুরী গোলাম আকবর সাহিত্যভূষণ।তিনি ছিলেন একজন লোকসাহিত্যের সাংগ্রাহক।ছাত্রজীবন থেকেই তিনি দিন-রাত পরিশ্রম করে লোক সাহিত্য সংগ্রহ করেছেন এবং সেটা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করে গিয়েছেন।তিনি যখন যেখানে পেতেন লোক সাহিত্য কুড়িয়ে নিতেন,পরম মমতায় তা সংগ্রহ করতেন।এর ধারাবাহিকতায় সারাজীবনে তিনি ৪০ হাজার পৃষ্ঠা লোক সাহিত্য লিখে বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন!(আমি অবাক হয়েছিলাম একজন মানুষ কি করে সারাজীবনে ৪০ হাজার পৃষ্ঠা লিখতে পারেন?)

বইটি পড়ে আপনি এই অসামান্য ব্যাক্তির জীবনী জানতে পারবেন,জানতে পারবেন তাঁর ছেলেবেলা সম্পর্কে,তাঁর শিক্ষা জীবন সম্পর্কে,তাঁর কর্মজীবন সম্পর্কে,তিনি কীভাবে লোক সাহিত্য সংগ্রহ করতেন সে সম্পর্কে,ইত্যাদি।

তাছাড়া বইটি পড়ে আপনি শুধু এই অসামান্য মনীষীর জীবনীই নয়,জানতে পারবেন তখন কার সময়ের মানুষের জীবন যাত্রা সম্পর্কে,সেই সময়কার শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে, তখনকার মানুষের বিনোদন সম্পর্কে,সর্বোপরি তখনকার বাংলার
পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা পাবেন।

বইটির কোন ভুল-ভ্রান্তি আমার চোখে পড়ে নি।বানান,বিরামচিহ্ন সবকিছুই ঠিকঠাক।বলতে গেলে ভালো মানের একটা বই।

ব্যাক্তিগত রেটিং :৫/৬

এতো সুন্দর একটি বই আমাকে হাদিয়া দিয়ে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য Chowdhury Shamsul Arefin ভাইয়া ও Ibrahim Nirob ভাইয়াকে অনেক ধন্যবাদ।🌸

[বি.দ্র : বুক রিভিউ কখনো লিখি নি,এটা আমার লেখা প্রথম বুক রিভিউ।গুছিয়ে লিখতে পারি না,যতোটুকু পেরেছি গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি।ভুল-ভ্রান্তি
ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]

Leave a Reply 0

Your email address will not be published. Required fields are marked *