ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলবে যেসব বই

আমি নিজ অভিজ্ঞতাথেকে দেখেছি যাদের দ্বীন সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই, তাদের হাতে হঠাৎ করে দু’চারটা ইসলামি বই তুলে দিলে হয় অপমানিত বোধ করে নাহয় হাসি মুখে বইগুলো নিয়ে পড়ার টেবিলে সাজিয়ে রাখে। নিজের আর পড়া হয় না। এটা কিন্তু খুবই স্বাভাবিক বিষয় যে বেদ্বীন জীবনে অভ্যস্ত কাউকে সরাসরি ইসলামি বই দিলে তারা পড়বে না। যদি পড়তই তবে কিন্তু আর হিদায়াতের আশায় তাদের ইসলামি বই হাদিয়া দেয়ার প্রয়োজন হতো না। তাই এসব মানুষকে ইসলামের পথে নিয়ে আসার জন্য প্রথমে ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলতে হবে। সরাসরি আত্মোন্নয়নমূলক বই অর্থাৎ ‘বেলা ফুরাবার আগে’ টাইপ বই দিলে কাজ হবে না। মনে করবে আপনি তাদের উপদেশ দেয়ার জন্য এসব বই দিয়েছেন। এদেরকে আপনি কিছু ইসলামি গল্প উপন্যাসের বই দিন। গল্প উপন্যাস পড়ার ছলে তারা ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। আর যখনই সে ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হবে, তখনই তাকে ধরিয়ে দিন কিছু আত্মোন্নয়নমূলক বই।

 

যখন আমাকে কেউ বলে, হিদায়াতে সহায়ক হতে পারে এমন কিছু বইয়ের নাম সাজেস্ট করুন, তখন আমি কিছু গল্প উপন্যাসের বই বলি যেগুলোতে ইসলামের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। যেকোনো ঘরানার পাঠক বইগুলো পড়ে ফেলতে পারবে।

 

গল্পের বইয়ের লিস্টে রয়েছে:

 

১. গল্পগুলো অন্যরকম।

২. জীবন যেখানে যেমন।

৩. মা, মা, মা এবং বাবা।

৪. ফেরা, ফেরা ২

 

উপন্যাসের লিস্টে রয়েছে:

 

১. ইন অ্যা রিলেশনশিপ।

২. মানহা।

৩. বৈরীপ্রিয়া।

৪. আসমান।

 

গল্পের লিস্টগুলো সবার জানা হলেও উপন্যাসের লিস্টটা অনেকের কাছেই অপরিচিত। তিনটা উপন্যাসই ইসলামি উপন্যাস। বেদ্বীন যেকেউ উপন্যাস পড়ার ছলে হারাম রিলেশনশিপ, নারীবাদ সহ ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারবে।

 

এই বইগুলো যদি কাউকে পড়িয়ে শেষ করাতে পারেন, তবে সে নিজথেকে আরো বই পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করবে। আমার পরিচিত ফ্রেন্ড যাদের নিজথেকে বাসায় যেয়ে বই দিয়ে এসেছি, তারা পরবর্তীতে আমার বাসায় বই নেয়ার জন্য এসেছে। যখন তারা নিজথেকে বই পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করবে, তখন তাদের দিতে হবে আত্মোন্নয়নমূলক বই। হতে পারে সেটা ‘বেলা ফুরাবার আগে’, ‘এবার ভিন্ন কিছু হোক’ কিংবা ‘অনেক আঁধার পেরিয়ে’।

Book ReView by SAWDA