দেজা ভ্যু : আমিনুল ইসলাম | Deja Vue By Aminul Islam

 স্পয়লার – ফ্রি রিভিউ » ❝দেজা ভ্যু❞ 

“দেজা ভ্যু” এবং “লুসির ড্রিম” এই দুটি থিওরি সম্পর্কে আমাদের ধারণা কতটুকু। আমরা অনেকেই হয়ত এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এই শব্দ দুটো বা এই থিওরি দুটোর সাথে পরিচিত না থাকলেও ; এই কর্মকান্ড কম বেশি আমরা সবাই করেছি। বই নিয়ে কথা বলার আগে চলুন জেনে নেয়া যাক “দেজা ভ্যু” এবং “লুসির ড্রিম” থিওরি দুটো সম্পর্কে। আশা করি এই থিওরি দুটো সম্পর্কে কিছু ধারণা থাকলে বইটি বুঝতে কোনো ঝামেলায় পরতে হবে না। 
                            ❝ দেজা ভ্যু ❞
                           ▬▬▬▬▬▬
. “দেজা ভ্যু” শব্দটি মূলত ফরাসি শব্দ। ইংরেজিতে যার অর্থ  ‘already seen’। সহজ বাংলায় আমরা বলতে পারি ‘ ইতিপূর্বে দেখা’ বা ‘পূর্বদৃষ্ট’। 
. দেজা ভ্যু বা পূর্বদৃষ্ট হলো একটি নিশ্চিত অনুভবের অভিজ্ঞতা যা একজন ইতঃপূর্বে এ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে অথবা সচক্ষে দেখেছে ( একজন ব্যক্তি অনুভব করে যে ঘটনাটি ইতিপূর্বে অথবা সাম্প্রতিক ঘটেছে), যদিও পূর্ববর্তী পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার সঠিক ঘটনাটির সম্পর্কে অনিশ্চয়তা রয়েছে। 
. সহজ ভাষায় বললে বলা যায়; এই মূহুর্তে আমরা যে কাজটি করছি, ঠিক কোনো এক সময় এই একই কাজ করছিলাম। এমন চিন্তা হরহামেশাই মাথায় ঘোরে। যাকে বলা হয়ে থাকে “দেজা ভ্যু”। 
. মূলত কিশোর ও তরুণ বয়সীরা সবচেয়ে বেশি শিকার হয় দেজা ভ্যুর। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন, দেজা ভ্যুর সঙ্গে ডোপামিন লেভেলের একটা যোগসূত্র থাকতে পারে। ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ডোপামিন লেভেল সবচেয়ে বেশি থাকে। 
. এমিল বোর‍্যাক নামে একজন প্যারা সাইকোলজিস্ট “দেজা ভ্যু” শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। ১৮৭৬ সালে ফরাসি জার্নাল ফিলোসোফিকে একটি চিঠি লেখেন। যেখানে তিনি ‘আগে যেন দেখেছি’ এই অনুভূতির বর্ণনা করেছিলেন “দেজা ভ্যু” শব্দটি দিয়ে। 
. বহুদিন পর্যন্ত দেজা ভ্যুকে একটি প্যারানরমাল বা অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতা বলে মনে করা হতো। গবেষণা অনুযায়ী, আমাদের মধ্যে দুই – তৃতীয়াংশ মানুষ জীবনে একবার হলেও দেজা ভ্যু দেখে থাকেন।
◑ দেজা ভ্যু কেন ঘটে? 
. বিজ্ঞানীদের ধারণা, আমাদের এই দেজা ভ্যুর অনুভূতির জন্য দায়ী হচ্ছে মস্তিষ্কের একটি অংশ যার নাম ‘ টেম্পোরাল লোব ‘। মস্তিষ্কের এই অংশটির কোন সার্কিট থেকে যখন কোন স্মৃতির সংকেত দেয়, যেটা আসলে তখন দেয়ার কথা নয়, তখনই ঘটে দেজা ভ্যু। এটাই আমাদের মধ্যে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিভ্রম তৈরী করে। মনে হয় কোথায় যেন দেখেছি আগে। 
. তবে এ নিয়ে আরো দ্বিমত রয়েছে। 
. অনেকে বলে থাকে এটি প্যারালাল ইউনিভার্সের সংঘাতে ঘটে থাকে। আবার অনেকে এটি পূনর্জন্মের তত্ত্ব দিয়েও ব্যাখ্যা করে থাকে। 
                         ❝  লুসিড ড্রিম ❞
                          ▬▬▬▬▬▬
. সচেতন মনে অধ্যাবসায় এবং চেষ্টার দরুন কেউ যদি স্বপ্ন দেখা কালীন বুঝতে পারে যে সে স্বপ্ন দেখছে বা স্বপ্নের মধ্যে রয়েছে তবে সেই স্বপ্ন দেখাকে ইংরেজিতে বলা হয় লুসিড ড্রিমিং। মনো বিজ্ঞানের একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় এই লুসিড ড্রিমিং। 
. ১৯৭০ সালে, কিথ হেরেন নামের একজন প্যারাসাইকোলজিস্ট লুসিড ড্রিমিং কীভাবে হয় তা জানার জন্যে গবেষণা শুরু করেন। অ্যানাল ওসলি নামের এক স্বেচ্ছাসেবক সেই রিসার্চটিতে দেখান লুসিড ড্রিমিং, রেম স্লিপ ( REM  Sleep) – এর সময় দেখা যায়। REM বা Rapid Eye Movement  যা কিনা খুবই স্বাভাবিক এবং স্বপ্ন দেখা শুরু হলে চোখের পাতার অনিয়মিত কাঁপন থেকেই এর নাম এমন দেয়া হয়। 
. নিউরোলজিস্ট জে.অ্যালান হবসন বলেন, স্বপ্ন দেখার সময় কোনো কিছু চিনে ফেলা হলো লুসিড ড্রিমিং এর প্রথম পর্যায়। কাউকে চিনে ফেললে dorosolateral prefrontal cortex – এ সাড়া জাগে যা কিনা রেম স্লিপ এর প্রয়োজনীয় জায়গাগুলো খুলে দেয় এবং একে সক্রিয় করে তোলে। 
এর ফলে স্বপ্ন আমাদের মনে থাকে এবং এই কাজের সময় amygdala এবং parahippocampal cortex উদ্দীপ্ত হয় এবং ড্রিম হ্যালুসিনেশন শুরু হয়। 
. ব্রাজিলে একটা পরীক্ষা চালানো হয় প্রায় ২৫০০ মানুষের উপর যার মধ্যে দেখা যায় প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ এই ড্রিমং অনুভূত করেছে। 
. অবাক করা বিষয় হচ্ছে, চাইলেই কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনিও ঘটাতে পারেন এই লুসিড ড্রিমিং। এর জন্য আপনার একবার ঘুমানোর ঠিক পাঁচ ঘন্টা পর জেগে উঠতে হবে। তারপর আবার ঘুমিয়ে পরতে হবে এর ফলে আপনি সরাসরি ঘুমের রেম পর্যায়ে চলে যাবেন এবং লুসিড ড্রিম দেখতে পারবেন। অন্য একটি পদ্ধতি হলো MILD (Mnemonic Induction of Lucid Dreams)। এটি এক ধরনের আবেশ পদ্ধতি। এক্ষেত্রে আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে মনে বার বার বলবেন “আমি আজ লুসিড ড্রিম দেখব”। আর একটি পদ্ধতি হচ্ছে নিজের দেখা স্বপ্নগুলো ডায়েরিতে লিখে রাখা এবং প্রতিদিন একবার করে সেগুলো পড়া। 
এসব পদ্ধতি অনুসরণের ফলে আপনার লুসিড ড্রিম দেখার সম্ভবনা অনেক বেশি । 
. তবে যারা মানসিক অসুস্থ তাদের জন্য লুসিড ড্রিমিং ক্ষতিকর। কারণ ঘুমের মূল উদ্দেশ্য বিশ্রাম দেওয়া,তবে লুসিড ড্রিম এর ফলে আপনি ঘুমের মাঝেও জেগে থাকবেন। 
এটুকুই ছিল দেজা ভ্যু এবং লুসিড ড্রিম থিওরি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা। এবারে বইয়ের প্রতিক্রিয়ায় চলে যাওয়া যাক। 
☆ আখ্যানঃ
সৈকত একজন নামকরা গায়ক। যার গানে ডুবে থাকে লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু তার এই খ্যাতি অসুখের মতো মনে হয়। এই অনুভূতি তাকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে। কিন্তু ছয়-সাত বছর আগে এই জীবনটাই চেয়েছিল সে। তবে আজ কেন এই জীবন অসহ্য লাগছে? 
নিহাব এক যুগান্তকারী আইডিয়া নিয়ে হাজির হলো স্বপ্নঘরে। এই আবিষ্কার তার পরিচিত এনে দিলো বিশ্ব দরবারে। কিন্তু হঠাতই একমাত্র কাছের মানুষটি কীভাবে যেন বদলে যেতে শুরু করল। সে কি কোনো ভুল করে ফেলেছে? 
হুট করেই এক নিমিষে মিথ্যা হয়ে যায় সৈকত ও নিহাবের জীবন, হুট করেই ফিরে যায় নিজেদের অতীতে। যে অতীতে গিয়ে নিহাব কিছু মনে না করতে পারলেও সৈকত অদ্ভুত কিছু স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কী ঘটে গেছে দুই ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সাথে? 
মরিয়া হয়ে অদ্ভুত এই পরিস্থিতির কারণ খুঁজতে যেয়ে লক্ষ করে তারা আটকে আছে এক মরীচিকায়;
জীবনটাই যেন দেজা ভ্যু! এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই টিনা নামক এক মেয়ে তাদের শোনায় এক অবিশ্বাস্য গল্প! কী সেই গল্প? 
আসলে কী ঘটেছিল ওদের সাথে? 
দেজা ভ্যুর শেষ চলটা তাহলে কার ছিল? 
☆ মূল রিভিউঃ
কিছুদিন আগে লেখক আমিনুল ইসলামের গডফাদার সিরিজটা পড়া হয়েছে আমার। সিরিজটা পড়ার পর তার বইয়ের প্রতি আমার আলাদা একটা টান চলে আসে। তার সকল বই চেখে দেখার প্রবল ইচ্ছে জাগ্রত হয়ে যায়। এই ইচ্ছা থেকেই দেজা ভ্যু বইটাও খুব দ্রুতই পড়ে শেষ করে ফেললাম।
বইটির কনসেপ্ট মূলত দুইটি থিওরির উপর নির্মিত। 
এর একটি হচ্ছে ‘দেজা ভ্যু’ এবং অপরটি হচ্ছে ‘লুসিড ড্রিম’। যা নিয়ে আমি শুরুতেই আলোচনা করে নিয়েছি। 
বইয়ের প্লট নির্বাচনে লেখক আমিনুল ইসলাম ভাইকে আমি অন্যদের তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে রাখব। কারণ, এ পর্যন্ত তার যে কয়েকটি বই পড়া হয়েছে প্রতিটি বইয়ের প্লট আমাকে মুগ্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও তার একটা বিষয় অনেক ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে গল্পের গতিময়তা। আজাইরা কথা বলে তিনি সময় একদম অপচয় করেন না। যে জায়গায় যতটুকু বলার প্রয়োজন সেটুকুই বলেন। প্রয়োজনে একটু কম বলেন কিন্তু বেশি বলে পাঠককে একঘেয়ে করে তোলেন না। 
তেমনি দেজা ভ্যুতেও গল্প ছুটতে শুরু করে প্রথম পৃষ্ঠা থেকেই। শুরুটা বহির বিশ্বে হলেও বইয়ের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ দেশীয়। আদি থেকেই বইটি বেশ ভালোই উপভোগ করতে পেরেছি। 
লেখক খুবই দক্ষতার সাথে প্রথম থেকেই কয়েকটি টাইমলাইনে গল্প এগিয়ে নিয়ে গেছেন শেষ অবধি ; যা ছিল অনুভব করার মতো।বেশ কয়েকটি টাইমলাইন থাকায় প্রথম দিকে একটু ঝমেলায় পরতে হয়েছিল ; তবে কিছুদূর যাওয়ার পর সব ক্লিয়ার হয়ে যায়। 
বইটি পড়ার পর আমি অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে ভালোই অবগত হতে পেরেছি। দেজা ভ্যু এবং লুসিড ড্রিম সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই কম ছিল। বইটি পড়ার পর এই বিষয় দুটোর উপর একটু ঘাটাঘাটি করে অনেক তথ্যই জানতে পেরেছি। 
বইটি ক্রাউন সাইজের ১২৬ পৃষ্ঠা ব্যাপি বেশ ছোটখাটো একটা বই। ক্রাউন সাইজের বই পড়তে আমার মোটামুটি ভালোই লাগে। তেমনি দেজা ভ্যুও।
ছোট সাইজ হওয়ায় দ্রুত এবং আনন্দের সহিত পড়তে পেরেছি। 
বইটার সাথে মিল খুজে পাওয়া যায় পৃথিবীর বিখ্যাত এক ডিরেক্টরের বিখ্যাত এক মুভির সাথে। পৃথিবী ব্যাপি অনেক নাম রয়েছে মুভিটার। স্পয়লারের কারণে মুভির নামটা আমি বললাম না। পাঠক সেটা বই পড়েই বুঝে নিতে পারবে। 
মুভিটার সাথে গল্পের প্লটের মিল খুজে পাওয়া গেলেও, এখানে অনেক ভিন্নতাও রয়েছে। 
☆ চরিত্রায়নঃ
চরিত্র গঠনে লেখকের পারফরম্যান্স খুবই ভালো। চরিত্রগুলোকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি চরিত্রকে বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে পাঠকদের সাথে পরিচয় করিয়েছেন সুনিপুণভাবে। অতিরিক্ত কোনো চরিত্রের ব্যবহার হয়নি পুরো গল্প জুড়ে। যে কয়েকটি চরিত্রের প্রয়োজন, ঠিক সে কয়েকটি চরিত্রই রেখেছেন। সব চরিত্র নিয়েই আলাদা আলাদা ঘটনা বিল্ড আপ করে গেছেন লেখক। মোট কথা ছোট বই হিসেবে চরিত্র গঠন আমার কাছে পারফেক্ট লেগেছে। 
☆ লেখন-শৈলী • বর্ণনাভঙ্গিঃ
লেখক আমিনুল ইসলামের লেখনশৈলী বরাবরের মতই মেদহীন। বই পড়তে বসলে খুব দ্রুত ঝরঝরে পড়ে ফেলা সম্ভব। তার লেখা বইগুলোর শব্দ এবং বাক্যের ব্যবহার একদম সাদামাটা। কোনো কঠিন শব্দ বা বাক্যের ব্যবহার নেই। তাই পড়ার সময় ভালোই উপভোগ করা যায়। 
বর্ণনাভঙ্গির কথা বলতে গেলে, ছোট বই হিসেবে যতটুকু বর্ণনার প্রয়োজন সেটুকু তিনি করে গেছেন। তবে দু এক জায়গায় বর্ণনার অভাব বোধ হয়েছে আমার। গল্পে শেষের দিকে সাফিনের ঘটনা বলে দেয়ার বিষয়টায় বর্ণনা খুবই কম লেগেছে। লেখক চাইলেই আর একটু ডিটেইলে লিখে গল্পটাকে আরো জাঁকজমক করতে পারত। আশা করি পরবর্তী মুদ্রণে লেখক বিষয়গুলো আমলে নেয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়া বইটি সম্পূর্ণ বেশ ভালোই উপভোগ্য ছিল। 
☆ বানান ও সম্পাদনাঃ
বইটিতে বানানে ভুল চোখে পরেছে বেশ কয়েক জায়গায়। অনেক জায়গায় শব্দের ভিতর থেকে কিছু অক্ষর হারিয়ে গেছে। এসব টাইপিং মিস্টেকও বলা যেতে পারে। সামান্য টাইপিং মিস্টেক বা বানানে ভুলের কারণে বইটি পড়তে কোনো অসুবিধায় পড়তে হবে না বলে আশা রাখি। 
বইটির সম্পাদনাও ভালো মানের ছিল। বইটা সম্পাদনা করেছেন তাহমিদ রহমান ভাই। প্রতিবারের মতো ভালো সম্পাদনা করেছেন এই বইটিতেও। তবে আর একটু জোরদার করলে আরো ভালো হতো। 
☆ প্রচ্ছদ ও অন্যান্যঃ
প্রচ্ছদ পছন্দসই। ভালো লাগার মতো একটি প্রচ্ছদ উপহার দিয়েছেন প্রচ্ছদশিল্পী আদনান আহমেদ রিজন ভাই। নামলিপির প্যাটার্ন এবং নামলিপির কালারও ভালো লেগেছে অনেক। 
বইয়ের মলাট, পৃষ্ঠা, বাঁধই খুবই ভালো এবং শক্তপোক্ত ছিল। বাহ্যিক প্রোডাকশন কোয়ালিটিও চমৎকার। আরাম করেই পড়তে পরেছি বইখানা। 
☆ পরিশিষ্টঃ
বইয়ের কাহিনী রচিত হয়েছে স্বপ্নের জগত নিয়ে । সাধারণত এমন কনসেপ্টের বই দেশীয় প্রেক্ষাপটে খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। দেশীয় লেখকের কাছে বিদেশি লেখকদের লেখনীর মতো স্বাধ পেলাম এই বইটি পড়ার মধ্যে দিয়ে। যা আমার ভালো লাগার মাত্রাকে অনেংশেই বাড়িয়ে দিয়েছে। 
যারা খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ে ভিন্ন স্বাধের অসাধারণ একটি বই পড়তে চান, অথবা যারা সাই ফাই, থ্রিলার পড়তে পছন্দ করেন। তাদের আমি এই বইটা ট্রাই করে দেখতে বলব। আশা করি বইটি পড়ে অনেক ভালো সময় কাটবে । হ্যাপ্পি রিডিং। 
🔰 একনজরে – 
⊕ বইয়ের নামঃ দেজা ভ্যু 
                      ( এক মলাটে দুই বই) 
⊕ লেখকঃ আমিনুল ইসলাম
⊕ জনরাঃ সাইফাই থ্রিলার
⊕ প্রকাশনীঃ সতীর্থ প্রকাশনা
⊕ প্রকাশকালঃ ২০২১
⊕ প্রচ্ছদঃ আদনান আহমেদ রিজন 
⊕ সম্পাদকঃ তাহমিদ রহমান
⊕ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২৮
⊕ নির্ধারিত মূল্যঃ ২৮০৳
কষ্ট করে সম্পূর্ণ রিভিউটুকু পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। বইটির বিষয়ে যেকোনো মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানানোর অনুরোধ রইল। 
লেখাঃ Tazmilur Rahman
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?