দ্যা আলমানাক অব নাভাল রাভিকান্ত : এরিক জর্জেনসন | The Almanac of Naval Ravikant

  • দ্যা আলমানাক অব নাভাল রাভিকান্ত
  • লেখক : এরিক জর্জেনসন
  • প্রকাশনী : রুশদা প্রকাশ
  • বিষয় : আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন
  • পৃষ্ঠা : 192, কভার : হার্ড কভার
  • আইএসবিএন : 9789849642657
প্রিয় পাঠক,
আসলে ভূমিকাতে এই দু’চারটি শব্দ লিখতে আমার বেশ অদ্ভুত লাগে কারণ আমি অনেকবছর আগেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম যে আমি কখনোই ভূমিকা লিখব না ।
আমি মূলত তিনটি কারণে আমার প্রতিজ্ঞার ব্যতিক্রম করছি। প্রথমত, এই বইটি ডিজিটাল বা কিন্ডেল বা ইবুক ফর্মেটে বিনামূল্যে অফার করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, আমি নাভালকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চিনি এবং অনেকদিন ধরেই চাচ্ছিলাম কেউ এই বইটি সংকলন করুক। তৃতীয়ত, আমি নাভালের পরবর্তী সন্তানের নাম “টিম” রাখার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছি (যদি সে পছন্দ করে আমি “টিম্বো” এর জন্য ঠিক করব)।
নাভাল আমার দেখা অন্যতম বুদ্ধিমান এবং সাহসী একজন মানুষ। “দু’বার চিন্তা না করেই আগুনে ঝাপ দেও” এরকম নির্বোধ নাভাল নয় বরং “দু’বার ভাবুন তারপর সবাইকে বলুন তারা ভুল আগ্নিকুণ্ডে ঝাপ দিচ্ছে” এরকম চৌকস গুণাগুণ লাভালের আছে। তিনি সর্বসম্মতিতে খুব কমই চলেন এবং নিজের পছন্দমতো কাজের মাধ্যমে জীবন, জীবনাদর্শন, পারিবারিক সুসম্পর্ক এবং নতুন কিছু শুরুর মাধ্যমে সফলতার স্বতন্ত্রতা বজায় রাখেন।
আমি তাকে যথেষ্ট সম্মান এবং ভালোবাসা দিয়েই বলি- তার মুখটা পায়ের মতো ভোঁতা হতে পারে কিন্তু সে কি চিন্তা করছে তা আপনি কখনো ধারণাই করতে পারবেন না। আমি নিজেও কখনো অনুমান করতে পারি নাই যে সে আমাকে বা অন্য কাউকে বা কোন পরিবেশ নিয়ে কী ধারণা করে। এসব আসলে দুজনের কথায় যত অস্পষ্টতা আছে সেসব ব্যাপারে এক বিশাল স্বস্তি এনে দেয়।
আমরা একসাথে অনেক খাবার খেয়েছি, অনেক লেনদেন করেছি এবং সারাদুনিয়া একসাথে ঘুরেছি।
এটুকু বলাই যায়, আমি দুনিয়ার যত ভালো মানুষ পর্যবেক্ষণ করেছি তারচেয়েও চমৎকারভাবে আমি নাভালকে পর্যবেক্ষণ করেছি। সে এমন একজন মানুষ যাকে আমি সবচেয়ে বেশি পরামর্শের জন্য ডাকি এবং তাকে আমি বিভিন্ন সময়ে বা ঋতুতে তার বিভিন্ন আবাসস্থলে দেখেছি- আপনি বলতে পারেন ভালো, খারাপ, মন্দা বা আমোদ যেকোন সময়ে।
তিনি Angelist এর প্রধান নির্বাহী (CEO) এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা (Co founder)। এর আগে তিনি Vast.com এবং Epinions এর সহ-প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা জনসাধারণের কাছে Shopping.com হিসেবেই পরিচিতি ছিল। অবশ্যই তিনি একজন বড় বিনিয়োগকারী এবং টুইটার, উবার, ইম্মার এবং ওপেনডিএনএস এর মতো মেগা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন ।
এটি আসলেই চমৎকার এবং নিশ্চিতভাবে বুঝিয়ে দেয় যে, নাভাল চেয়ারে বসে থাকা দার্শনিক নয় বরং তিনি একজন বিশ্বমানের অপারেটর।
কিন্তু আমি ব্যবসায়িক বিষয়ের কারণে তার দৃষ্টিভঙ্গি, নীতিবাক্য এবং চিন্তাভাবনাকে অতটা গুরুত্ব সহকারে নিই না। কারণ এখানে আপনি সফল কমবখত মানুষদের পাবেন। এদের গঠন, দর্শন সম্পর্কে সচেতন হন তাহলে আপনি একের ভেতর সব পাবেন।
আমি নাভালের যেসকল বিষয়ের কারণে তাকে গুরুত্ব দেই তা হলো প্রায় সকল বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা ।
একদম গোড়া থেকে চিন্তা করা ।
সবকিছু ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।
বোকার মতো ভালো কাজ না করা। • নিয়মিত মন পরিবর্তনের সাথে রাখা ।
অনেক হাসিখুশি থাকা । সামগ্রিকভাবে চিন্তা করা।
দীর্ঘমেয়াদি চিন্তাভাবনা করা ।
এবং নিজেকে অহেতুক খুব বেশি গুরুত্বের সাথে না নেয়া ।
একেবারে শেষেরটা কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এই বইটি আপনাকে নাভালের বুদ্ধিদীপ্তির এক ঝলক দেখাবে এবং আপনি এই বইটিতে আলাদা এক মজা খুঁজে পাবেন।
তাই, মনোযোগ দিয়ে বইটি পড়ুন … কিন্তু তোতাপাখির মতো বইয়ের
সব মুখস্থ করবেন না। 
তার উপদেশগুলো মেনে চলুন জীবনের সব ক্লান্তি, গ্লানি সুবিবেচনায় নিয়ে চলতে পারে । যদি আপনার সবকিছু বিবেচনা করে পড়ুন … কিন্তু কোনোকিছুই স্বর্গীয় বাণী মনে করবেন না। নাভাল চাইবে আপনি তাকে চ্যালেঞ্জ করুন যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি নতুন একটা খেলা বা ধারণা নিয়ে আসুন। নাভাল আমার জীবনেও ভালো গঠনমূলক পরিবর্তন এনে দিয়েছে এবং আপনিও যদি বইটি সুস্থ আলোচনা বা গঠনমূলক তর্কের জন্য সঠিকভাবে পড়তে থাকেন তাহলে আপনার জীবনেরও পরিবর্তন এনে দিবে।
আপনারা সবাই সুস্থ এবং মুক্ত মনের অধিকারী হন সেই প্রত্যাশা রইল ।
পুরা ভিদা,
টিম ফেরিস অস্টিন, টেক্সাস।
এরিকের নোট (এই বই সম্পর্কে
নাভাল তার পুরো কর্মজীবনে তিনি তার প্রজ্ঞা মানুষের সাথে খোলামনে শেয়ার করেছেন এবং পুরো দুনিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষ তার উপদেশ মেনে সম্পদ আহরণ করেছেন এবং সুখে জীবনযাপন করেছেন।
নাভাল রাভিকান্ত সিলিকন ভ্যালি এবং দুনিয়াজুড়ে নব্য সংস্কৃতির একজন আইকন। তিনি একাধিক সফল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন । নাভাল একজন বড় বিনিয়োগকারী। উবার, টুইটার, পোস্টমেটস এবং এরকম আরো শতাধিক কোম্পানির সূচনাতেই তিনি বিনিয়োগ করেছেন।
আর্থিক সাফল্যের চেয়ে নাভালের জীবনাদর্শ তার পাঠক এবং শ্রোতাদের বেশি আকর্ষণ করেছে। নাভালকে ব্যাপকভাবে অনুসরণ করার অন্যতম কারণ হলো তিনি সফলতা এবং সুখের বিরল সংমিশ্রণ।
দর্শন, অর্থনীতি এবং সম্পদের আহরণ নিয়ে তার সারাজীবনের
অধ্যয়ন তার ব্যবসায়িক নীতির প্রভাবকে বেশ প্রভাবিত করেছে।
আজ, নাভাল স্বাস্থ্যকর, শান্তিপূর্ণ এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবন বজায় রেখে তার নিজস্ব গুণে প্রায় নিয়মিতই তার কোম্পানিগুলো তৈরি এবং বিনিয়োগ করে যাচ্ছেন । এই বইটি হলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞানের এক সংগ্রহশালা যা নাভাল শেয়ার করেছে এবং তা কীভাবে আপনি অর্জন করতে পারবেন সেটাও দেখানো হয়েছে।
নাভালের জীবনকাহিনি আমাদের নিকট বেশ শিক্ষণীয়। একজন অন্তর্মুখী প্রতিষ্ঠাতা, স্ব-শিক্ষিত বিনিয়োগকারী, পুঁজিপতি এবং প্রকৌশলীর অবশ্যই আমাদের সকলকে শেখানোর অনেক কিছু আছে ।
প্রথম নীতি হলো, নিশ্চিন্তে সত্য বলার সাহস অর্জন করা। নাভালের বেশিরভাগ চিন্তাভাবনাগুলোই অনন্য এবং বুদ্ধিবিত্তিক। তার প্রেরণায় জীবনের বহিরাবরণ দেখে বিশ্বকে যেভাবে দেখি সেভাবে পরিবর্তন করা যায়।
আমি নাভালের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ শিখেছি। তার সম্পদ এবং সুখের নীতিগুলো পড়ে, শুনে এবং প্রয়োগ করে আমি ব্যক্তিজীবনে শান্ত এবং আত্মবিশ্বাসী হয়েছি এবং আমি আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে শিখেছি। তার ক্যারিয়ার বা কর্মজীবন খুব কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করে আমি দেখেছি কীভাবে ছোট এবং অবিরাম পদক্ষেপের মাধ্যমে অনেক বড় অসাধ্যকে সাধন করে একজন ব্যক্তি কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।
আমি প্রায়শই প্রসঙ্গক্রমে তার কাজ আমার বন্ধুদের কাছে উল্লেখ করি এবং সুপারিশও করি। এই কথোপকথনগুলো আমাকে এই বইটি তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করেছিল যাতে মানুষ তার দৃষ্টিকোণ থেকে শিখতে পারে যে তারা নাভালের ধারণাগুলো নতুন নাকি বিগত দশ বছর যাবৎ অনুসরণ করে আসছে।
এই বইটি টুইটার, ব্লগ পোস্ট এবং পডোকাস্টের মাধ্যমে গত এক দশকে নাভালের নিজের ভাষায় শেয়ার করা জ্ঞানের সংগ্রহশালা। এই বইটি দিয়ে, আপনি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সারাজীবনের সুবিধা পেতে পারেন।
এই বইটি আমি সাধারণ মানুষের জন্য এবং তাদের উদ্দেশ্যেই লিখেছি। টুইট, পডোকাস্ট এবং সাক্ষাৎকারগুলো দ্রুত হারিয়ে যায়। এই মূল্যবান জ্ঞান আরো স্থায়ী, এক্সেসযোগ্য বিন্যাসের প্রাপ্য। এভাবেই এই বই নিয়ে আমার মিশন শুরু।
আমি আশা করি এটি নাভালের আইডিয়া বা ধারণার ভূমিকাস্বরূপ কাজ করবে। আমি তার সব প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ আইডিয়াগুলো তার নিজের ভাষায় সংগ্রহ করে তারপর পাঠযোগ্য করে উপস্থাপন করেছি এবং সেসব সহজে উল্লেখ করার জন্য বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে সাজিয়েছি।
এই বইয়ের কিছু অংশ রিভিউয়ের সময় আমি উপলব্ধি করতে পারি যে, আমরা অনেকেই বিনিয়োগের আগে বা সুখের অধ্যায় শুরুর আগেই খারাপবোধ করা শুরু করি। এই বইটি লিখতে মানে তৈরি করতে করতে আমার মাঝে পরিবর্তন আসা শুরু হয়। আমি আমার জীবনের সমস্ত দিক থেকে আরো স্পষ্টতা, আত্মবিশ্বাস এবং শান্তির অনুভব করি। আমি আশা করি আপনার মাঝেও এই পরিবর্তন কজ করবে।
আলম্যানাকটি গাইডের মতো করে তৈরি করা হয়েছে যাতে নির্দিষ্ট বিষয়গুলো পড়া যায় এবং পরামর্শ পাওয়া যায়। যদি নাভাল আপনার ইমেইলের রিপ্লাই না দেয় তাহলে এই বইটি আপনাকে পরবর্তী পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবে।
এই বইটিতে নাভাল সবচে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আর তা হলো- সম্পদ এবং সুখ। যদি আপনি নাভাল এবং তার আইডিয়াসমূহ নিয়ে বিরতিহীনভাবে জানতে চান তাহলে বইয়ের শেষে “নেক্সট অন নাভাল” সেকশন বা অনুচ্ছেদটি দেখতে পারেন যা আমি বইয়ের শেষে সংযুক্ত করেছি। আমি বইয়ের যে অধ্যায়গুলো শেয়ার করেছি তা বইয়ের সর্বশেষ সম্পাদিত এবং সর্বাধিক জনপ্রিয়।
আপনার সবাই ভালো থাকবেন, এরিক।
পটভূমি
নাভালের কিছু কথা
আমি আমার মায়ের কাছেই বড় হয়েছি। আমার মা কাজ করতেন, স্কুলে নিয়ে যেতেন, আমাকে এবং আমার ভাইয়ের দেখাশোনা করতেন । ছোটবেলা থেকেই আমরা বেশ স্বাবলম্বী ছিলাম। অনেক কষ্ট ছিল কিন্তু সবাই কষ্টের মধ্যে দিয়েই যায়। তবে দুঃখ-কষ্ট আমাকে নানাভাবে বিভিন্ন সময়ে সাহায্য করেছে।
আমরা বেশ অসহায় অভিবাসী ছিলাম। আমার বাবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন- ভারতে তিনি একজন ফার্মাসিস্ট ছিলেন। কিন্তু এখানে এসে তার ডিগ্রি অকেজো হয়ে পড়ে কারণ সেটা আর কোথাও গৃহীত হয় নাই, তাই তিনি একটা হার্ডওয়্যারের দোকানে কাজ করতেন। আমার শৈশব টানাপড়নের মধ্যে ছিল এবং শেষমেশ আমার পরিবার ভেঙে যায়। [৪৭]
আমার মা এত দুঃখ-কষ্টের মাঝেও অকৃত্রিমভাবে ভালোবেসে গেছেন। যদি আপনার জীবনে কিছুই না থাকে কিন্তু অন্তত একজন মানুষ থাকে যিনি আপনাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসে তবে সেটা আপনার জীবনে বিস্ময়করভাবে প্রভাব ফেলবে। চা
আমরা নিউইয়র্ক সিটির যে পাশে ছিলাম সেটা বেশ অনিরাপদ ছিল। মূলত, আমার স্কুলের পাশেই একটা লাইব্রেরি ছিল। স্কুল শেষে আমি সোজা লাইব্রেরিতে চলে যেতাম এবং লাইব্রেরি বন্ধ না করা পর্যন্ত আমি সেখানেই থাকতাম। এটাই আমার প্রতিদিনের রুটিন ছিল। ৮)
আমরা যখন খুব ছোট ছিলাম তখনই এমেরিকা চলে আসি। আমার তেমন কোনো বন্ধু ছিল না এজন্য আমি অতটা আত্মবিশ্বাসীও ছিলাম না । পড়ার পেছনে বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত হতো ।
আমার একমাত্র প্রকৃত বন্ধু ছিল বই। বইগুলোই প্রকৃত বন্ধু বানায় কারণ বই পড়লে বিগত কয়েক হাজার বছরের সেরা চিন্তাবিদরাই আপনার সাথে তাদের জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করে ।
পনেরো বছর বয়সে আমি প্রথম কাজ শুরু করি। একটা ভারতীয় অবৈধ ক্যাটেরিং কোম্পানি অর্থাৎ ভ্যানের পিছনে ভারতীয় খাবার নিয়ে সরবরাহ করতাম। যখন আমি ছোট ছিলাম তখন একটা এলাকায় খবরের কাগজ বিক্রি করতাম এবং একটা ক্যাফেটেরিয়াতে থালা বাসন ধোয়ার কাজ করতাম।
“অভিবাসীরা বাঁচার চেষ্টা করছে” এরকম এক অবস্থায় নিঃস্ব একটা পরিবার থেকে নিউইয়র্ক সিটিতে আমি এক অচেনা শিশু। সেইসময় আমি স্টাইভেসেন্ট হাই স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই।
এখানেই আমার জীবনের মোড় ঘুরতে শুরু করে। স্টাইভেসেন্টের ব্রান্ড দিয়েই আমি আইভি লীগ কলেজে ভর্তির সুযোগ পাই যা আমাকে প্রযুক্তির সাথে সাক্ষাৎ করিয়েছিল। স্টাইভেসেন্ট আমার জীবনে লটারির মতো কাজ করেছে এটি আমাকে ব্লু কালার থেকে হোয়াইটে নিয়ে গিয়েছিল ।[৭৩]
ডার্টমাউথে আমি অর্থনীতি এবং কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে লেখাপড়া করেছি। একটা সময় আমি ভেবেছিলাম আমি অর্থনীতিতে পিএইচডি করব ৮
আজ, আমি একজন বিনিয়োগকারী, ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রায় দুই শতাধিক কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছি। উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করি এবং অনেক বোর্ডেও থাকি। আমি একটা ক্রিপ্টকারেন্সি ফান্ডের ছোট্ট অংশীদার কারণ আমি ক্রিপ্টোকারেন্সির মাঝে সম্ভাবনা খুজে পেয়েছি। আমি সবসময় নতুন কিছু রান্না করে থাকি। আমি সর্বদাই অনেকগুলো পার্শ্ব প্রকল্প হাতে রাখি । [৪]
এবং আমি এঞ্জেললিস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। আমি একজন গরিব এবং হতভাগা হয়ে জন্মেছিলাম। আমি এখন বেশ ভালো আছি এবং আমি আমার নিজের কাজ নিয়ে বেশ খুশি।
আমি কিছু জিনিস শিখেছি এবং এসবের মাঝে বেশ কিছু নীতি আছে। আমি সেসব আপনাদের সাথে শেয়ার করব যাতে আপনারা নিজের প্রয়োজনে সেগুলো কাজে লাগাতে পারেন। দিনশেষে আমি আপনাকে কিছুই শেখাতে পারব না, আমি শুধুমাত্র আপনাকে অনুপ্রাণিত করতে পারি এবং কিছু টেকনিক শেখাতে পারি যাতে আপনি সেগুলো মনে রাখতে পারেন
নাভালের টুইট । ১৮ মে, ২০০৭
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?