ম্যাজিক মুনশি – হুমায়ূন আহমেদ

 

ম্যাজিক মুনশি – হুমায়ূন আহমেদ

ম্যাজিক মুনশিকে কোনো উপন্যাস বলা যাবে কি?
আত্মজৈবনিক গোছের একটি লেখা ম্যাজিক মুনশি। ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ সিনেমাটির সেট দেখতে দলবল নিয়ে হাওড় অঞ্চলে যাওয়ার সময় ঝড়ের মুখে পড়ে তারানগর নামক অঞ্চলে লঞ্চ থামাতে হয়েছিলো লেখকের দলটিকে। সেসময় পরিচয় ঘটা একটি চরিত্রকে নিয়েই লেখা হয়েছে বইটি।
বরাবরই হুমায়ূন আহমেদের বিচিত্র মানুষের প্রতি আগ্রহ ছিলো আর তা-ই বোধহয় ঘটনাচক্রে তিনি বারবার অদ্ভুত ঘটনাবলী এবং বিচিত্র মানুষের সংস্পর্শে অজান্তেই এসেছিলেন।
তারানগরে হঠাৎ-ই তার সাথে পরিচয় হয় অত্র এলাকার ইমাম সাহেবের সাথে।ইসলামে জাদু হারাম হওয়ায় ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের মধ্যে জাদুর চর্চা দেখা যায় না।
কিন্তু এই লোকটি নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম আর তাই ইমামতির পাশাপাশি তিনি পুরো এলাকায় জাদু জানেন বলেও পরিচিত।
জাদুবিদ্যায় পারদর্শী এই ইমাম সাহেবকে মনে মনেই হুমায়ূন আহমেদ নামকরণ করেন ‘ম্যাজিক মুনশি’ হিসেবে।
গল্পকার যিনি তিনি যেকোনো তুচ্ছ বিষয়কেই পাঠকের সামনে চমৎকারভাবে তুলে ধরতে পারেন।
হুমায়ূন আহমেদ বাস্তব জীবনে ম্যাজিকের প্রতি আগ্রহী এবং মাঝারি গোছের ম্যাজিশিয়ান হলেও লেখালেখিতে তিনি যে একজন শীর্ষস্থানীয় জাদুকর তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।
কলম জাদুকরের হাতে উঠে আসা ভাটি অঞ্চলের একজন জাদুকরের গল্প ‘ম্যাজিক মুনশি’।
পাঠককে অবশ্যই কিছুটা নাড়া দিয়ে যাবে এই ভিন্নধর্মী লেখনী।

Follow my fb page for more book recommendations Books you must read 🌼