রউফুর রহীম কেন পড়বেন?

একটি জরাগ্রস্ত জনপদের আলপথ ধরে তিনি দাঁড়ালেন। জনপদটি ছিল দাঁড়াবার নিমিত্তমাত্র। পুরো পৃথিবীই তখন পাপের সাম্রাজ্য। জগতের সর্বস্তর আর জীবনের সবখান থেকেই মুছে গেছে বেঁচে থাকবার মানে। এই নরকের পিঠে তিনি নামলেন আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ হয়ে। তাঁর চোখে ত্রিকালের মায়া, বুকে কম্প্র-দরদের টলোমল জল, মুখে আল্লাহর মোহন-মহান বাণী; তিনি স্থবির এই মানুষ-জীবনের মূলে ফুঁকে দিলেন জীবনের দিশা।

সূর্যের উদয় হলো জীবনের তটরেখা ধরে। তিনি আল্লাহর নবি ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি রাহমাত সকল জগতে।

হলে কী হবে—মমতায় ভরা কুসুমকুড়ানো জীবন ছিল না তাঁর,ছিল নির্মমতায় ঘেরা। বন্ধুর পথ আর অনতিক্রম্য চড়াই পাড়ি দিতে হয়েছে, সমগ্র জীবন জুড়ে। একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই ছিলেন সঙ্গী, তাঁর একমাত্র রফিকে আ‘লা। এই মহামানবের অপূর্ব আনুগত্যমোড়া অভূত নবি-জীবনের গ্রন্থনা এ বই । এখানের পুরোটা জুড়েই ছড়ানো ঘুমিয়ে-পড়া জীবনের জীয়নছোঁয়া; এখানে প্রভুর আলোতে দীপ্যমান হয়ে আছে পথ, পাথেয় ও একজন পথিক—একজন ‘রউফুর রহীম’।

লেখক পরিচিতি:

বিস্তৃত পরিসরে ইসলামি ইতিহাস সংকলনের জন্য ড. ‘আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি বর্তমান সময়ের এক প্রসিদ্ধ নাম। ইতিহাসের পাতাগুলো পাঠকের চোখে জীবন্ত হয়ে উঠেছে তার কলমের ছোঁয়ায়। ১৯৬৩ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে তার জন্ম। মাদীনা ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলরস করেছেন প্রথম স্থান অধিকার করে। মাস্টার্স ও ডক্টরেট করেছেন সুদানের উমদুরমান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে।

Leave a Reply 0

Your email address will not be published. Required fields are marked *